২০১৮ সালে সিবিআই-র স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার তদন্তে কেন তাঁর লাই ডিটেক্টর টেস্ট বা কোনও মানসিক পরীক্ষা করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি? আস্থানাকে ক্লিনচিট দেওয়ার পরে বুধবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের এমনই প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই।
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার আস্থানা ও আর এক সিবিআই অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে দুর্নীতি মামলায় ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্নীতি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা সিবিআই-র তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের জেরে রাতারাতি তাঁদের ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। পরে সিবিআই-র পদ থেকে দু’জনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের উদ্দেশে আদালত প্রশ্ন ছোঁড়ে, কেন আস্থানাকে অন্য অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা হয়নি? শুধু তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ পরীক্ষা করা হল কেন? এক সিবিআই অফিসার আদালতে বলেন, আমরা আস্থানাকে অন্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা না করলেও, তাঁকে ভালোভাবেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
স্পেশাল সিবিআই বিচারক সঞ্জীব আগরওয়াল এরপর এই মামলার প্রথমভাগের তদন্তকারী অফিসার অজয় কুমার বাসসিকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের সামনে কেস ডায়েরি বিশ্লেষণ করতে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর অলোক ভার্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরের দিনই তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি বাসসিকে পোর্ট ব্লেয়ারে বদলি করে দেওয়া হয়। এই বদলির সিদ্ধান্তে হতাশ ওই অফিসার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। সে বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে এক পিটিশন দিয়ে জানিয়ে ছিলেন, তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে, তাছাড়া আস্থানার বিরুদ্ধে যে সব প্রমাণপত্র রয়েছে তাও নষ্ট করা হতে পারে।
Comments are closed.