‘বড় তাড়াতাড়ি সম্মান পেলেন, শেষ দুর্গের পতন?’ রঞ্জন গগৈ রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ায় কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লকুড়ের
শেষ দুর্গের পতন? অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রাষ্ট্রপতির মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ায় প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লকুড়।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-র রাজ্যসভার সাংসদ পদ পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবার নাম করেই তাঁকে তীব্র খোঁচা দিলেন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লকুড়।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জল্পনা তো চলছিলই, কোনও সম্মানজনক পদ পেতে পারেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাই তাঁর মনোনয়ন পাওয়া বিস্ময়ের কিছু নয়। কিন্তু যেটা অবাক করার বিষয় তা হল, খুব তাড়াতাড়িই এই সম্মান পেলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লকুড় বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং অখণ্ডতার নতুন সংজ্ঞা স্থাপিত হল। এটাই কি শেষ দুর্গের পতন?
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণ বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি লকুড়, বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ নজিরবিহীন ভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর অফিসের সঙ্গে সরকারি মহলের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই চার বিচারপতি। দু’মাস আগে প্রধান বিচারপতিকে লেখা তাঁদের একটি চিঠিও সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন। বিচারপতি গগৈ তাঁর সহ বিচারপতিদের খানিকটা অবাক করেই সেই সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র অবসর নেওয়ার পর তিনিই ছিলেন প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মামলার রায় দেন রঞ্জন গগৈ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাফাল মামলায় কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেওয়া এবং অবসরের ঠিক আগে অযোধ্যা মামলার রায়, যা কার্যত সরকারের পক্ষেই যায়। অবসরের পরে তাঁর এই রাজ্যসভার মনোনয়ন নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে চেলামেশ্বর বা বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে দু’জনেই জানিয়েছিলেন, অবসরের পরে কোনও সরকারি পদে তাঁরা থাকতে নারাজ।
Comments are closed.