Lockdown: আইন লাগুর নামে মানুষকে হয়রানি নয়, হোম ডেলিভারি চালু থাকবে, আধিকারিকদের বার্তা দিয়ে রাজ্যবাসীকে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় সরকার ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে তারপর কাটতে চলল একদিন। অভূতপূর্ব এই পরিস্থিতিতে প্রথম দিনই সামনে এসেছে একাধিক নাগরিক অস্বাচ্ছন্দের অভিযোগ। যার সিংহভাগই রসদ সংগ্রহে গিয়ে মুদি দোকানে জিনিস না পাওয়া থেকে শুরু করে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির। এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই লকডাউন মানতে বাধ্য করার পুলিশের কিছু ভিডিও ফুটেজ।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করলেন লকডাউনে কী কী চলবে, কী চলবে না। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৩১ মার্চ ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পুলিশ সবজিওয়ালাকেও তাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা চলবে না। সবজি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। মানুষের খাদ্য সরবরাহে কোনও বাধা চলবে না। রেশন দোকানদারদের বিব্রত করবেন না। মাঠে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের আটকে দেওয়া চলবে না।

তিনি বলেন, রাজ্যে বহু বয়স্ক মানুষ হোম ডেলিভারি থেকে খাবার আনান। লকডাউনে হোম ডেলিভারি, রেশন দোকান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান চালু রাখাতেই হবে। কোনও অফিসার তাতে বাধা দিলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি মমতার। পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বিশেষ পাস ইস্যু করবে সরকার। সেই এক পাসে গোটা রাজ্যে কাজ করা যাবে।

এদিন আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সামাজিক পেনশন হোল্ডারদের মার্চ-এপ্রিল কিংবা এপ্রিল-মে… দু’মাসের টাকা একবারে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। গৃহহীনদের জন্য বিভিন্ন নাইট শেলটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মমতা গৃহহীনদের কাছে আবেদন করেন, তাঁরা যেন সেই নাইট শেলটারে গিয়ে থাকেন। সেখানেই তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করবে কর্পোরেশন এবং পুলিশ। রেশনে এক মাসের খাদ্যদ্রব্য একবারে দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ, যদি আপনার চোখে পড়ে এমন কাউকে, যিনি খাবার পাচ্ছেন না। দয়া করে সেই খবর বিডিও কিংবা পুলিশের আইসির কাছে দিন। প্রশাসন খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানে মানুষকে আইসোলেট করে দেওয়া নয়।

একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে প্রথম সারির সৈনিক, সেই স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিত্সক, নার্সদের সঙ্গে যেন বাড়ি ছাড়ার কোনও জুলুমবাজির ঘটনা না ঘটে। সরকার যে তা বরদাস্ত করবে না, তাও সাফ করেন মমতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা লড়ে যাচ্ছেন, তাঁদের বিরক্ত করা যাবে না। তাঁর কথায়, বাড়িওয়ালারা মানবিক হোন।

কেন্দ্র যে রাজ্যকে কোনও সাহায্যই করে উঠতে পারেনি, তাও এদিন জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীর কাছে তহবিলে সাহায্য করার আবেদন করেন। আর্থিক কিংবা পরিকাঠামোগত, যে কোনও সাহায্য গ্রহণে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। বলেন মমতা ব্যানার্জি।

 

Comments are closed.