করোনাভাইরাস রুখতে গোটা দেশে লকডাউন। সামান্য পরিকাঠামো নিয়ে বিপুল শক্তিধর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। আইসোলেশন সেন্টারের অভাব পূরণে হাওড়ায় রাতারাতি একটি স্টেডিয়ামকে বদলে ফেলা হয়েছে হাসপাতালে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ ইডেনকে করোনা মোকাবিলায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আরেক শহরবাসী। তিনি শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়ার রয়েছে ৩০ টি লাক্সারি বাংলো। সবকটি বাংলো তিনি করোনা মোকাবিলায় ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন। সূত্রের খবর, মমতা প্রশাসন তাঁর এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এক-দুদিনের মধ্যেই ওই বিলাসবহুল বাংলোগুলোর দায়িত্ব নেবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে হর্ষবর্ধন নেওটিয়া জানিয়েছেন, আমরা জানি পরিকাঠামোর অভাব আছে। তাই ৩০ টি স্যুইট আমরা পরিকাঠামো তৈরিতে ব্যবহার করতে দিতে চাই। এরমধ্যে কোনও ব্যবসায়ীক স্বার্থ নেই। রাজ্য সরকার ঠিক করুক সেখানে কোয়ারেন্টিন অথবা আইসোলেশনের জন্য ব্যবহার করবে নাকি অন্য কোনওভাবে।
পাশাপাশি ওই বাংলোগুলোতে স্বাস্থ্য পরিষেবা বাদে অন্যান্য সমস্ত কাজ, খাবার সরবরাহ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও করবে নেওটিয়ার সংস্থাই।
পরিস্থিতির বিপদ উপলব্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলায় শিল্পক্ষেত্রের আর্থিক কিংবা পরিকাঠামোগত সহায়তা দেওয়ার নিয়ম শিথিল করেছে।
Comments are closed.