তীব্র দাবদাহে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে কলকাতাও। তীব্র গরমে আলিপুর চিড়িয়াখানার আবাসিকরাও প্রবল অস্বস্তিতে। এই গরমে তাই রীতিমত বদল আনা হয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায়। শিম্পাঞ্জি, জিরাফ, ভালুক, ক্যাঙারু, হাতি, বাঘ, সিংহ সবাইকে দেওয়া হচ্ছে পশু চিকিৎসকের নির্দেশ মতো খাবার। ভালুককে দেওয়া হচ্ছে দই-ভাত। শিম্পাঞ্জি ‘বাবু’ এবং তার তিন সঙ্গীকে দেওয়া হচ্ছে আম, তরমুজ, শশা। কাকাতুয়া এবং অন্যান্য পাখিদের দেওয়া হচ্ছে আঙুর, তরমুজ। আলিপুর চিড়িয়াখানার এই মুহূর্তে সেরা আকর্ষণ ক্যাঙারু। কলকাতার তীব্র গরমের সঙ্গে যাতে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা না হয়, তাই তাদের খাঁচায় লাগানো হয়েছে সিলিং ফ্যান। বিশেষ এক ধরনের ঘাসের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে রাঙা আলু এবং আপেল।
আলিপুর চিড়িয়াখানা
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা ডঃ আশিস কুমার সামন্ত জানালেন, হাতির খাদ্য তালিকাতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। কাঁচা কুমড়ো, তরমুজ, কাঁঠাল খেতে দেওয়া হচ্ছে তাদের। বাঘ, সিংহের মত মাংসাশী প্রাণীদের ক্ষেত্রেও কম করা হচ্ছে মাংসের পরিমান। দিনে চার থেকে পাঁচ কিলো মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়া ডিহাইড্রেশন রুখতে নিয়মিত জলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের ভিটামিন।
চিড়িয়াখানার অধিকর্তা ডঃ আশিস কুমার সামন্ত জানান, আলিপুর চিড়িয়াখানার এবার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে হাতিদের এনক্লোজারটি। একঘেয়ে বন্দী জীবন থেকে কিছুট মুক্তি দিতে ঢেলে সাজানো হয়েছে এনক্লোজারটি। চাষ করা হচ্ছে আখ, ভুট্টা যাতে যেভাবে তারা জঙ্গলে খাবার সংগ্রহ করতে অভ্যস্ত তার কিছুটা স্বাদ যাতে মেলে চিড়িয়াখানার জীবনেও। এছাড়াও ছ’য় ফিট গভীর পুকুর খনন করা হচ্ছে যাতে স্নানের মজা নিতে পারে হাতিরা। খুব তাড়াতাড়ি এই এনক্লোজারটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
চিড়িয়াখানায় হাতির নতুন এনক্লোজার
ঢেলে সাজানো হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে। ক্যাঙারু, পাইথনদের পর এবার আরও এক নতুন চমকের অপেক্ষায় দর্শকেরা।