অনলাইনে আজব বিপত্তি, একটি গাড়ি অর্ডার দিয়ে কেনা হয়ে গেল ২৮ টি গাড়ি! মাথায় হাত বাবা-ছেলের

কিনতে চেয়েছিলেন একটি গাড়ি। কিন্তু ওয়েবের গোলমালে অর্ডার হয়ে গেল একসঙ্গে ২৮ টি বহুমূল্য গাড়ি। মাথায় হাত জার্মানির বাবা ছেলের।

বেশ কিছুদিন ধরেই টেসলার মডেল থ্রি কিনবেন বলে ভেবে রেখেছেন জার্মানির বাবা ছেলে। করোনা তাণ্ডব যখন একটু ঠাণ্ডা, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে অনলাইনে গাড়িটি অর্ডার করবেন ঠিক করেছিলেন। পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছিল মডেল থ্রি অটো পাইলট কেনার প্রক্রিয়া। রঙ পছন্দ করে, ফিচার্সে আরও একবার চোখ বুলিয়ে শেষে ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিয়ে যখন সাবমিট এর বোতামে ক্লিক করলেন… দু’বার চাকা ঘুরে হ্যাঙ করে গেল পেজ! কিছুক্ষণ পরে পেজে দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা আসে। আবার সাবমিট করা হয়। আবার চাকা ঘোরা শুরু। গাড়ি কিনতে বসা ওই ব্যক্তির দাবি, প্রায় দু’ঘণ্টা এভাবেই চাকা ঘোরার পর আচমকা বার্তা, অর্ডার সম্পন্ন হয়েছে।

গাড়ি কিনে ফেলেছেন এই ভেবে যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছেন, তখনই কনফার্মেশন মেসেজ আসে। তাতে লেখা ২৮ টি টেসলা মডেল থ্রি কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মোট বিল হয়েছে ১.৪ মিলিয়ন! বলা হয়, ক্যানসেল করলে প্রতি গাড়ি ১০০ ইউরো করে কাটা হবে।

বাবা-ছেলে তো বটেই, পরিবারের লোকেদেরও ভ্যাবাচাকা অবস্থা। ১.৪ মিলিয়ন… অজান্তেই তখন মাথায় হাত জার্মান পরিবারটির। টেসলায় যোগাযোগ করেন তাঁরা। বলেন একটি গাড়ি কিনতে গিয়ে কীভাবে যেন আরও ২৭ টি অতিরিক্ত গাড়ি কিনে ফেলেছেন। সব শুনে অবাক টেসলার কর্মীরাও।

তদন্ত করে পরে দেখা যায়, জার্মানির পরিবারটি যে সময় দ্বিতীয়বার অর্ডার সাবমিট করে, তখনই টেসলার কোনও অভ্যন্তরীণ গোলমালে একসঙ্গে ২৮ টি গাড়ির অর্ডার হয়ে যায়। ভুল মেনে নিয়ে গোটা অর্ডারটিই ক্যানসেল করেছে টেসলা। জার্মান বাপ-বেটাকে নতুন করে আবার অর্ডার করতে বলেছে তারা। শেষ খবর, এখনও অর্ডার করে উঠতে পারেননি বাবা-ছেলে।

Comments are closed.