ফুসফুসে মারাত্মক ক্ষতি, রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ, কোভিডে মৃতদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে ব্রিটেনে গবেষণা
এর আগে একাধিক গবেষণাতে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন করোনা থেকে সেরে উঠলেও সংক্রমিতের শরীরের উপর তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ফুসফুস সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয় করোনাভাইরাসের ফলে। প্রায় একইরকম রিপোর্ট উঠে এল ব্রিটেন থেকেও। এই গবেষণা হয়েছে করোনায় মৃত রোগীদের পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে।
কোভিডে মৃত ১০ জনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে তাঁদের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার মতো লক্ষণও পর্যবেক্ষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, মাত্র দশটি কেসের উপর ভিত্তি করে প্রথম রিপোর্ট হলেও কোভিড-১৯ এ মৃত রোগীদের নিয়ে এটাই এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে বৃহত্তম সমীক্ষা। সম্প্রতি দ্য ল্যান্সেট মাইক্রোবে প্রকাশিত হয়েছে এই সমীক্ষার রিপোর্ট। সমীক্ষাটি করেছেন লন্ডনের ইম্পিরিয়ল কলেজ এবং এনএইচ ট্রাস্টের গবেষকরা।
দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসে মৃত ওই ১০ জন রোগীর ফুসফুসে গভীর ক্ষত ছিল। কিডনিতেও ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, নয় জন রোগীর অন্তত একটি প্রাথমিক অঙ্গে (হৃদপিণ্ড, ফুসফুস বা কিডনি) থ্রম্বোসিস হয়। অর্থাৎ, ওই অঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল।
গবেষকরা যে ১০ জন করোনা মৃতের ময়নাতদন্ত ও বায়োপসি করেছিলেন তাঁদের বয়স ছিল ২২ থেকে ৯৭ বছরের মধ্যে। ছিলেন চারজন মহিলা। ইংল্যান্ডের ইম্পিরিয়াল কলেজ হেলথকেয়ার এনএইচ ট্রাস্ট হাসপাতালে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই পরীক্ষাগুলি চলে। দেখা গিয়েছে, এই রোগীদের হাই ব্লাড প্রেশার এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিজিস (COPD) তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এঁদের সবাই জ্বরে ভুগেছিলেন এবং কমপক্ষে দুটো করে রেসপিরেটরি সিম্পটমস ছিল। যেমন, কফ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা।
করোনা রোগীদের চিকিৎসা, তাঁদের শারীরিক সমস্যা বোঝা এবং সেবার ক্ষেত্রে এই গবেষণা বিশেষ সাহায্য করবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
Comments are closed.