২০১৮ ও ‘১৯ সালে বাংলায় একজন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) এর প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এল এমনই তথ্য।
মমতা ব্যানার্জির সরকার গত কয়েক বছরে বহুবার রাজ্যের কৃষকদের অবস্থার উন্নতির দাবি করেছে। গত আট বছরে বাংলায় কৃষকদের আয় তিনগুণের বেশি হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কৃষকরা সহজে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের সার-বীজ ও নানা সাহায্য পাচ্ছেন। কৃষকদের জন্য রয়েছে বিমা সহ নানা প্রকল্প। যেমন সম্প্রতি করোনা আবহে বাধার মধ্যেও মাত্র তিন মাসে রাজ্যের ১২ লক্ষের বেশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ পেয়েছেন।
রাজ্যের কৃষক উন্নয়নের সেই ছবিই ধরা পড়ল কেন্দ্রের রিপোর্টেও। এনসিআরবি জানাল, গত দু’বছরে বাংলার একজন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি। কৃষকদের উন্নতির উপর নির্ভর করেই গত ৬ বছর ধরে টানা কেন্দ্রের কৃষি কর্মণ পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে মঙ্গলবার প্রকাশিত এনসিআরবি-র রিপোর্টে গত দু’বছরে সারা দেশের কৃষকের দুরবস্থার ছবি উঠে এসেছে। কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে উপরের সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। গোটা দেশে ৪২ হাজার ৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩৫৭ কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছিলেন। আর গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে খেতমজুর রয়েছেন ৪ হাজার ৩২৪ জন। ২০১৯ সালে ৫৫৬৩ পুরুষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, আত্মঘাতী মহিলা কৃষকের সংখ্যা ৩৯৪ জন। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গত এক বছরে দেশের মোট আত্মহত্যাকারীর মধ্যে কৃষক ৭.৪ শতাংশ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহার, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, দিল্লি, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরিতেও একজন কৃষক বা ভাগচাষী আত্মহত্যা করেননি, জানাচ্ছে এনসিআরবি রিপোর্ট।
Comments are closed.