২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ফের ৪৮ ঘণ্টার লকডাউন। এমনই ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। পুজো পরবর্তী রাজ্যে লকডাউন নিয়ে ফেক নিউজের নেপথ্যে কারা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুজো মিটেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে এবার কি ফের লকডাউন করার পথে যাচ্ছে রাজ্য সরকার? এখন এই প্রশ্নেই তোলপাড় রাজ্য। দশমীর পর থেকেই এই সংক্রান্ত একটি ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়ছিল। তাতে লেখা ছিল, বৃহস্পতিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সবই। সেই ভুয়ো প্রতিবেদনে দাবি করা হয় সংক্রমণ রুখতে ওই দু’দিন যেমন বন্ধ থাকবে ট্রেন, বিমান তেমনই খুলবে না দোকান-বাজার। কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে বাড়তি নজরদারি চলবে এই সময়।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে নতুন করে লকডাউন করার কোনও ভাবনা নেই। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ইউরোপে নতুন করে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে কয়েকটি দেশ। এই প্রেক্ষিতে বাংলায়ও সংক্রমণ রুখতে লকডাউন হবে বলে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। আদতে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করতেই ভুয়ো মেসেজ ছড়ানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত পুলিশ। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, জানতে নেমে পড়েছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুব তাড়াতাড়ি ফেক নিউজের পর্দাফাঁস হবে।
এর আগেও বাংলায় ফেক নিউজ ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। বাংলা নিউজ চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করেও ফেক নিউজ ছড়ানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফেক নিউজ ছড়ানোর বিরুদ্ধে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্য মন্ত্রীও। পুলিশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নিয়েছে। তার পরও কীভাবে এই রকম স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ফেক নিউজ চালাচালি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে, কী উদ্দেশ্যে নতুন করে লকডাউনের মিথ্যে বার্তা সার্কুলেট করছে, দ্রুত তাঁকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Comments are closed.