মর্নিং ওয়াক বাঙালির কাছে নতুন না। যেটা নতুন, মর্নিং ওয়াকের ট্র্যাকেও রাজ্য রাজনীতির নিঃশব্দ অনুপ্রবেশ।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সম্প্রতি নিউটাউনে শিফট করেছেন। দিলীপের নতুন ডেরার কাছেই ইকো পার্ক। সময় পেলে ভোরে হাঁটতে যান। সেখানে ঘটেছে একটি অদ্ভুত ব্যাপার।
গত দুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, ‘সব বেচে দে’ লেখা টি শার্ট পড়ে কয়েকজন যুবক দিলীপ বাবুর আশেপাশে মর্নিং ওয়াক করছে। কারা তারা!
মুখে কথা নেই, চোখে চোখ পড়লে মুচকি হাসি, ব্যস।
ওরা কারা?
সবাই মিলে ‘সব বেচে দে’ টি শার্ট পরে কী বলতে চায়?
জানা যাচ্ছে, নিউ টাউন এলাকার যুব তৃণমূল কর্মীরাই দল বেঁধে এক রকম টি শার্ট পরে দিলীপ ঘোষের আগে পিছে ঘুরছে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতির। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৌখিক উত্তাপ। এমন এক প্রাক নির্বাচনী আবহে যুব তৃণমূলের সাইলেন্ট প্রোটেস্টকে অনেকেই নিঃশব্দ বিপ্লব বলছেন। আর দিলীপ ঘোষ বলছেন, চেহারা দেখেছেন এক একটার! মোদীজির ফিট ইন্ডিয়ার মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূল কর্মীরা মর্নিং ওয়াক শুরু করেছে। এটা ভাল। আর টি শার্টের বার্তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মর্নিং ওয়াক রাজনীতির জায়গা নয়।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে একে একে ২৮ টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সময় টি শার্টে একটি লেখা জনপ্রিয় হয়, সব বেচে দে নরেন। নাগরিকত্ব ইস্যুতে কলকাতা যখন প্রতিবাদে মূখর, তখনও পড়ুয়াদের একটি অংশ ওই টি শার্ট গায়ে পথে নেমেছিলেন। আসলে গোটা বিশ্বেই টি শার্টের মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার চল আছে। টি শার্টের লেখা অনেক সময়ই প্রতিবাদেরও ভাষা। এবার তা ফিরে এলো তৃণমূলের মন্ত্র হয়ে।
Comments are closed.