কয়েক মাস পরই বিধানসভা ভোট। তার আগে একের পর নেতা, বিধায়ক ও সাংসদের ইস্তফা নিয়ে চিন্তিত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গত বুধবার বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়ার পর কার্যত দল ছাড়ার হিড়িক উঠেছে তৃণমূলে। শুক্রবারই তৃণমূলের আর এক বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত দল ছেড়েছেন। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু সহ একঝাঁক তৃণমূলত্যাগী নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা। এই প্রেক্ষিতে মমতার কালীঘাটের বৈঠকে দল ভাঙন ও সমস্যাই যে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে তা বলাই যায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে মমতার কালীঘাটের বাড়ির জরুরি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মতো দলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। এছাড়া তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর।
এদিকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের যে সব নেতা, বিধায়ক ও সাংসদরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল তার মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত প্রমুখ। তৃণমূল নেত্রী নিজে অবশ্য বিদ্রোহী নেতাদের গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, দু’একজন আছে যারা জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও সাংবাদিক বৈঠকে একই কথা বলেছেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে কার্যত যেভাবে গণইস্তফা শুরু হয়েছে দলে, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে কালীঘাটের এদিনের বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিধানসভা ভোটে বিজেপির মোকাবিলা তো রয়েইছে, পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ নেতা- কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনে করে দলের ভাঙন কীভাবে রোধ করা যায় তাও উঠে আসতে পারে এদিনের আলোচনায়।
Comments are closed.