রাজ্যে অমিত শাহ: রাজীব, বৈশালী, প্রবীর সহ আর কে কে বিজেপিতে…? জল্পনা তুঙ্গে
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু
আগামী ৩০,৩১ জানুয়ারি অমিত শাহের রাজ্য সফরে তৃণমূলের চার বিধায়কের গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই হাওড়ার জেলা সভাপতি ও মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন লক্ষীরতন শুক্লা। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেও দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বহিষ্কার করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর একটি অরাজনৈতিক সভা থেকে প্রথম বেসুরো শোনা যায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জিকে। শুভেন্দুর মত তাঁরও শিবির বদল নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। ২২ জানুয়ারি রাজীব মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে শুভেন্দু থেকে রাজীব ব্যানার্জি একাধিক ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তাঁকেও ২৬ তারিখ শোকজ করেছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে ৩১ তারিখ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খবর, বিজেপির এই হাইভোল্টেজ সভাতেই তৃণমূলের চার বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন। দলবদলের তালিকায় নাম রয়েছে রাজীব ঘনিষ্ঠ হাওড়া কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীরও। তিনিও একাধিকবার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাজীব সহ তৃণমূলের বাকি তিন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিলেও ২৭ তারিখের বিধানসভার অধিবেশনে চারজনই অনুপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভা থেকে অমিত শাহের উপস্থিতিতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ ৯ বিধায়ক এবং এক সাংসদ। ৩১ তারিখ অমিত শাহের সভায় মেদিনীপুরের পুনরাবৃত্তি হতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.