মেয়াদ শেষ সিবিআইয়ের ডিরেক্টার ঋষিকুমার শুক্লার। পরবর্তী ডিরেক্টার কে হবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রেক্ষিতে জানা গেল, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন রাকেশ আস্থানা। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্টারলিং বায়োটেক নামে একটি ওষুধের কোম্পানির থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাকেশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। ২০১৮ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টরের পদ থেকে।
২০১৮ সালে সিবিআই ডিরেক্টর হন আর কে শুক্লা। সম্প্রতি তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে। সূত্রের খবর, অবসর নেওয়ার আগে রাকেশ আস্থানাকে ক্লিনচিট দেওয়ার ফাইলে সই করেছেন তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে সমস্ত রকম অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল সিবিআই। ওষুধের কোম্পানি স্টারলিং বায়োটেকের কাছে ঘুষ ছাড়াও রাকেশ আস্থানা মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির কাছ থেকেও ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর মার্চে সিবিআই আস্থানাকে মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু ওষুধ কোম্পানির কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মামলাটি চলছিল। এবার সেই মামলা থেকেও রেহাই পেলেন আস্থানা বলে জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন- ১৫ ও ১৬ মার্চ ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক]
সূত্রের খবর, আস্থানার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে স্টার্লিং বায়োটেকের কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সেই সময়কার সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা আস্থানার বিরুদ্ধে স্টার্লিং বায়োটেক-এর কাছে ৪ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এই অভিযোগের পর নানা টানাপোড়েন দেখেছে দেশের সেরা তদন্তকারী সংস্থা।
এখন বিএসএফের ডিজি পদে আছেন ১৯৮৪ ব্যাচের গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানা। অভিযোগ মুক্তির পর কি আস্থানা সিবিআই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন? তা এখনও জানা না গেলেও গুজরাত ক্যাডারের এই আইপিএস অফিসার যখন সিবিআইতে ছিলেন তখন সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছিল সারদা ও নারদ তদন্তের। সিবিআই প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিও। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি রাকেশ আস্থানা বসবেন সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে? এটাই এখন বড়ো প্রশ্ন।
Comments are closed.