আর ক’দিন পরেই বাংলায় বিধানসভা ভোট, সব দলই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোট যুদ্ধে। যুযুধান দুই পক্ষ তৃণমূল, বিজেপি নিজেদের রণনীতি তৈরী করে ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে। তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। তৃণমূলত্যাগী নেতারা একাধিকবার পিকেকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জল্পনা শোনা যাচ্ছে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে আইপ্যাক। এই পরিস্থিতিতে একুশের নির্বাচনে তৃণমূলে পিকের ভূমিকা কী?
আইপ্যাকের তরফে বলা হয়েছে, তাদের নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র ভোটের স্ট্র্যাটেজি তৈরীর জন্য, প্রার্থী তালিকায় নাক গলানো তাদের কাজ নয়।
[আরও পড়ুন- বনধ, করোনার জোড়া ফাঁস এড়িয়ে ১১ মাস পর খুলল স্কুল, মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি]
লোকসভা ভোটে তফসিলি উপজাতি এবং আদিবাসী ভোটের একটি বিরাট অংশ বিজেপি পায়, যার ফলাফল ১৮ টি সিট্ জয়। সূত্রের খবর আদিবাসী এবং ট্রাইবাল ভোট পুনরায় তৃণমূলে ফিরিয়ে আনতে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম একাধিক কৌশল স্থির করছে। দুয়ারে সরকার-এর মত একাধিক কর্মসূচিকে সফলভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আইপ্যাক কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ১৮ লাখ কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বও একাধিক সভা থেকে দাবি করেছেন সে কথা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নীচু তলার কর্মীদের সমন্বয়ের অভাব। আইপ্যাকের এক কর্মীর কথায়, পার্টির সমস্ত স্তরের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে ভোটের আগে একটি ঐক্যবদ্ধ টিম বানানোই আমাদের লক্ষ্য।
তৃণমূলের SC সেলের সভাপতি তাপস মণ্ডল আইপ্যাককে নিয়ে বলেন, রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের ঘরে গেলে নানা কারণে তারা সব কথা বলতে পারেন না। তার জায়গায় কোনও নিরপেক্ষ সংস্থার কাছে মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারেন। প্রকৃত সমস্যা জানা যায়।
এছাড়াও বিজেপির আইটি সেলের মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তৃণমূলের জেলাস্তরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আইপ্যাক।
সব মিলিয়ে বিজেপির মত একটি সংগঠিত দলের বিরুদ্ধে পিকে ও তাঁর সংস্থাকে নিয়োগ আগামী ভোটে তৃণমূলকে ভোটবাক্সে ডিভিডেন্ড দেবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.