নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেয়েছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাঁকুড়ার কোতুলপুরের DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পেশায় অটো চালক মইদুলের মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছেন। নার্সিং হোম সূত্রে খবর, পুলিশের লাঠির আঘাতে বিধ্বস্ত মইদুল্কে গুরিতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু ক্রমশ তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সিপিএম নেতা তথা ডাক্তার ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, লাঠির আঘাতে মইদুলের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফুসফুসে জল জমে যায়। সোমবার সকালে কিডনি ফেল করে মৃত্যু হয় ডিওয়াইএফআই নেতার।
১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র-যুবদের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা। কলেজ স্ট্রিট থেকে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল নবান্ন অভিমুখে রওনা দেয়। ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকালে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়। সেই সময় পুলিশের মুখে পরে যান মইদুল। লাঠির আঘাতে ছিটকে পড়েন রাস্তার পাশে। অভিযোগ পরে গেলেও পুলিশের লাঠি থামেনি। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলেও শেষ রক্ষা হল না।
Comments are closed.