আদালতের নির্দেশেই হত্যা করা হয় বাঘিনীর, এখানে কোনোরকম হস্তক্ষেপ নয়: সুপ্রিম কোর্ট
দুই বাঘ্রশাবকের মা ৬ বছরের অবনীকে ২ নভেম্বর ২০১৮ তে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলায় গুলিবিদ্ধ করে মারা হয়েছিল।
২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের বাঘিনী অবনীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। শুক্রবার, সেই পিটিশন প্রত্যাহার করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছিল “মানুষখেকো” বাঘিনী অবনীকে। এবং মহারাষ্ট্র প্রশাসনের তরফ থেকে পূর্বেই সুপ্রিম কোর্টকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
৯ মাসের দুই বাঘ্রশাবকের মা ৬ বছরের অবনীকে ২ নভেম্বর ২০১৮ তে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলায় গুলিবিদ্ধ করে মারা হয়েছিল। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছিল, বাঘিনী “অবনী” দু’বছরের মধ্যে প্রায় ১৩ জন গ্রামবাসীকে মেরে ফেলেছিল। এই কারণে তাঁকে “মানুষখেকো” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই আদালতের নির্দেশ মেনে মানুষখেকো বাঘিনী অবনীকে মারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শিকারি আসগার আলীকে।
মহারাষ্ট্রে বাঘিনী অবনীর হত্যার ঘটনায় আদালতে অবমাননার মামলা দায়ের করেন পশু অধিকার আন্দোলনকর্মী সঙ্গীতা ডোগরা। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বাধ্য করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য। মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া তথ্যের বিরোধিতা করে পশু অধিকার আন্দোলনকর্মী সঙ্গীতা জানান, অবনী “মানুষখেকো” ছিল না। এবং বাঘিনীর হত্যা নিয়ে গ্রামবাসীর আনন্দ উৎসবকেও তিনি নিন্দা করেছেন। এরপরও সঙ্গীতার আর্জি ছিল, অবনীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হোক। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গীতাকে জানায়, “মামলাটি আপনি প্রত্যাহার করবেন নাকি আদালত খারিজ করবে?” বাধ্য হয়ে তিনিই প্রত্যাহার করেন মামলা।
Comments are closed.