শুক্রবারই বাড়ি ফিরে এসেছেন মমতা ব্যানার্জি। বাড়ি ফিরেই তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই মানুষের কাছে পৌঁছতে চান। নির্বাচন রাজনৈতিক সংগ্রাম, মানুষই আমার শক্তি বলে জানিয়েছেন মমতা। সোমবার থেকেই জেলা সফরে বেড়িয়ে পড়তে চান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও চিকিৎসকরা কয়েকদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। সেইক্ষেত্রে হুইলচেয়ারেই চলাফেরা করবেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেই সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এর আগে রবিবার অর্থাৎ নন্দীগ্রাম দিবসে বাড়ি থেকেই তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করবেন দলনেত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবার ইস্তাহার প্রকাশের কথা ছিল। নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে শিবরাত্রির দিন কালিঘাটের বাড়ি থেকে ইস্তাহার প্রকাশের কথা ছিল তৃণমূলের। ইস্তেহার তৈরির দায়িত্বে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু নন্দীগ্রাম দুর্ঘটনা কারণে সেইদিন তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এরপর জানা যায় রবিবারই নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করা হবে। এরপর সোমবার থেকেই জেলা সফরে বেড়িয়ে পড়বেন তিনি।
সোমবার মমতা সভা করবেন ঝাড়গ্রামের লালগড় ও গোপীবল্লভপুরে। মঙ্গলবার তিনি যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মমতার জেলা সফর
১৫ মার্চ- ঝাড়্গ্রাম: (লালগড়, গোপীবল্লভপুর)
১৬ মার্চ- পশ্চিম মেদিনীপুর: (কলাইকুণ্ডা, গড়বেতা, কেশিয়াড়ি)
১৭ মার্চ- পূর্ব মেদিনীপুর: (এগরা, পটাশপুর, তমলুক)
সাধারণত মাইক হাতে নিয়ে মঞ্চের একপাশ থেকে আরেক পাশ হেঁটে ভাষণ দেন মমতা। জনসভায় উপস্থিত প্রতিটি মানুষের নজর কাড়তেই তিনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আর এখন হুইলচেয়ারে বসেই বক্তৃতা দিতে হবে তৃণমূল নেতৃকে। এদিন মমতা জানিয়েছেন, নিজের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবছি না আমি। আমার বিশ্বাস মানুষের কাছে গেলে সহযোগিতা নিশ্চয় পাব।
Comments are closed.