মাওবাদীদের পাতা ফাঁদে ছত্তীসগঢ়ে মৃত্যু ২২ জওয়ানের? নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানালেন শাহ

নিহত জওয়ানদের থেকে আধুনিক অস্ত্র লুট করে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা

ছত্তীসগঢ়ে জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের জঙ্গলে মাওবাদী হামলায় নিহত ২২ জওয়ান। আহতের সংখ্যা ৩১। সূত্রে খবর, প্রায় ৪০০ জন মাওবাদী হামলা চালায়। নিহত জওয়ানদের থেকে আধুনিক অস্ত্র লুট করে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা।

এদিন দুপক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত ২৫-৩০ জন মাওবাদীও নিহত হয়েছে বলে জনিয়েছে সেনা দল। তবে ঘটনাস্থল থেকে কেবল এক জন মহিলা মাওবাদীর দেহই উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই সুকমা-বিজাপুর সীমানার জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের জঙ্গলে মাওবাদীরা জমি ফিরে পেতে হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছিল। মাওবাদীদের বর্তমান গতিবিধির খবর পেয়ে শনিবার ভোরে সিআরপি, কোবরা, ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড সহ ১৫০০ জওয়ানের একটি টিম জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের জঙ্গলে অভিযানে নেমেছিল। হঠাৎই ওই এলাকায় ৭৯০ জন জওয়ানের একটি টিমকে লক্ষ্য করে গোলা ছুঁড়তে শুরু মাওবাদীরা।

এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, একটি জায়গা থেকে সাত জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে গাছের ডালে অসংখ্য গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। প্রমাণ করছে শেষ পর্যন্ত জওয়ানেরা লড়াই চালিয়েছেন।

নিহত জওয়ানদের মধ্যে সাত জন কোবরা কমান্ডো এবং আট জন সিআরপি জওয়ান। বাকিরা ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্য ছিল। প্রশ্ন উঠছে, মাওবাদীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েই কি এত বড় বিপদ ডেকে আনল জঙ্গলে যুদ্ধ করতে প্রশিক্ষিত সিআরপিএফ? সিআরপিএফ কর্তা কুলদীপ সিংহ অবশ্য কৌশলগত ভুলের কথা মানতে চাননি।

সোমবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের জগদালপুরে গিয়ে নিহত জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Comments are closed.