ভোটের দিন কী করে ঘটলো গুলি চালানোর মতো ঘটনা! তার স্পষ্ট উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রধানমন্ত্রী মোদী সরাসরি ঘটনার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করেছেন। অন্যদিকে রানাঘাটের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীর দাবি, প্ল্যান করে একজন মহিলাকে পাঠিয়েছিল বিজেপি। তারপরই ৪ জনকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিল। মমতার আরও অভিযোগ, গোটাটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী সব জানতেন বলেও দাবি করেন মমতা।
শীতলকুচির ঘটনার পর থেকেই প্রতিটি সভায় নিয়ম করে ঘটনার কথা তুলছেন মমতা ব্যানার্জি। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। মমতা ব্যানার্জি এদিন নাম না করে আক্রমণ করেন দিলীপ-রাহুল সিনহাদেরও। মমতা বলেন, একজন বিজেপি নেতা বলছেন ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল। এদের ব্যান করা উচিত। একটা রাজনৈতিক দল এই কথা বলতে পারে! প্রশ্ন মমতার।
তারপরই মমতার মন্তব্য, কে কে গুলি চালিয়েছিল সকলের নাম বের করে ফেলেছি। তদন্ত করে সব বের করব। একইসঙ্গে বিঁধেছেন অমিত শাহকেও। শাহ অভিযোগ করেছিলেন, মমতা কেবলমাত্র ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে সরব। রাজবংশী পরিবারের সন্তানকে নিয়ে নীরব দিদি। এদিন মমতা সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষ হানেন। বলেন, একজন ১৮ বছরের রাজবংশী ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি অবশ্যই সমবেদনা জানিয়েছি। তারপরই মমতার বিস্ফোরক অভিযোগ, বিজেপি নিজের কর্মীকে নিজেরাই খুন করেছে। সেই অজুহাত দিয়ে এখন হিন্দু-মুসলিম করার ধান্দা করছে, অভিযোগ মমতা ব্যানার্জির।
Comments are closed.