চাকরি জীবনের শেষ সিদ্ধান্ত মমতাকে ব্যান, অবসরে CEC সুনীল অরোরা
CEC হিসেবে শুরু থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন সুনীল অরোরা
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই সুশীল চন্দ্রের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে নির্বাচন সদন ছেড়ে শেষবারের মতো বেরিয়ে যাবেন সুনীল অরোরা। ১৯৮০ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস সুনীল অরোরার বর্ণময় কর্মজীবনের শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে থেকে যাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি।
২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসেন অরোরা। তারপর ১১ টি নির্বাচন করিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি সুনীল অরোরার জায়গায় সুশীল চন্দ্রের নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
CEC হিসেবে শুরু থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন সুনীল অরোরা। বিশেষ করে গত লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ৩৭ টি অভিযোগ জমা পরে তারমধ্যে ১৭ টি ছিল বিধি লঙ্ঘনের। কিন্তু কমিশন সবকটি মামলায় মোদীকে ক্লিন চিট দেয়। তাতে অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার বিরোধিতা নথিভুক্ত আছে। তা নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করে, রাহুল গান্ধী কে আক্রমণ করতে গিয়ে যেভাবে নরেন্দ্র মোদী হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ এনেছিলেন তা নজিরবিহীন। অভিযোগ হলেও প্রধানমন্ত্রীর কোনও সাজা হয়নি। আবার গত লোকসভা ভোটেই সপার আজম খানকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সেন্সর করেছিল অরোরার কমিশন। বিভেদমূলক মন্তব্যের জন্য সুনীল অরোরার কমিশনই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে সাজা দিয়েছিল। যদিও সেই সাজার যৎসামান্য মেয়াদ নিয়ে সেই সময় প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল।
শেষ হল বর্ণময় কেরিয়ার। অবসরে গেলেন সুনীল অরোরা।
Comments are closed.