সবটাই স্বাভাবিক নিয়মেই চলত। রোজ ট্রেন আসত। ট্রেন থেকে লোক নামত, উঠত। রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে সাধারাণ মানুষের আনাগোনা সবটাই ঠিক মতোই চলত। কিন্তু এখন চারিদিক শুনশান। হঠাৎ করেই একদিন সব থেমে গেল। শুরু হল অশরীরির উপদ্রোপ। কিন্তু কেন এমন হল?
চলুন পিছিয়ে যাই কয়েক বছর পেছনে। পুরুলিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এক স্টেশন বেগুনকোদর। একদিন মধ্যরাতে এখানকার স্টেশন মাস্টার ও তার স্ত্রী খুন হয়। তারপরই স্টেশন চত্বর জুড়ে শুরু হয় নানান রকম ভুতুড়ে কাণ্ড। শুনশান হয়ে যায় স্টেশন চত্বর। প্রাণ বাঁচাতে কেউ আর সেই স্টেশন মুখ হত না। ট্রেন থামাও একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল সেখানে।
টানা ৫০ বছর স্টেশন এভাবেই পরিত্যক্ত হয়ে পরে থাকার পর ২০১০ সালে সেই স্টেশনকে আবার ব্যবহারের যোগ্য করার চেষ্টা করা হয়। ট্রেন থামতে শুরু করল। এমনিতে স্টেশন চত্বর যথেষ্ট ফাঁকা, শুনশান। বিকেল ৫ টা ৫০ এ একবার একটি ট্রেন থামে। তাছাড়া কোন ট্রেনই এখানে থামে না।
তবে যতই সচ্ছল হোক না কেন! মাঝে মধ্যেই নাকি অন্ধকার ট্রেন লাইনের উপরে দেখা যায় একাকী দাঁড়িয়ে থাকা সাদা শাড়ি পড়া একজনকে। এমন কথা অনেকও জানিয়েছিল গ্রামবাসীরা। দীর্ঘ ৫০ বছর পরই নতুন করে স্টেশনকে সাজিয়ে গুছিয়ে মানুষের যাতায়াতের যোগ্য করার চেষ্টা করা হলেও মানুষ এখনও সেই পথ এড়িয়ে চলেন। তবে কি সেই ভুতুড়ে উপদ্রব এখনো থেকে গেছে? তা কার জানা নেই। শুধুমাত্র রাত্রিবেলা নয়, ভরদুপুরেও সেখানে গা ছমছমে পরিবেশ।
Comments are closed.