মন্ত্রিসভায় একঝাঁক নতুন মুখ। অনেক হেভিওয়েট ‘চেয়ার’ খোয়ালেন। কারও কারও দায়িত্ব বাড়ল। বাংলা থেকে এবারও নেই কোন পূর্ণ মন্ত্রী।
দু’জনের জায়গায় বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন চার জন। যদিও সবকটিই প্রতিমন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। অমিত শাহের ডেপুটি হলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। স্বরাষ্ট্র, যুব কল্যাণ বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।
হর্ষবর্ধনের জায়গায় নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এর আগে তিনি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। রবিশঙ্কর প্রসাদের জায়গায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মন্ত্রী হলেন অনুরাগ ঠাকুর। শিক্ষামন্ত্রী হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, আগে তিনি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ছিলেন। দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। দেশের নতুন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদী মন্ত্রিসভায় অন্যতম চমক অশ্বিনী। বস্ত্রমন্ত্রী হলেন পীযুষ গোয়েল। এছাড়াও বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের মত বেশ কিছু মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁর হাতে। বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেত্রী স্মৃতি ইরানি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। আগে তিনি বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন।
রদবদলে ৪৩ জন নতুন মুখ মোদী সরকারের মন্ত্রী সভায় শপথ নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘মিশন ২৪’ কে টার্গেট করেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। তাদের দাবি মন্ত্রিসভায় প্রতি ৫ জনের একজন উত্তরপ্রদেশ থেকে।
Comments are closed.