মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতরা হলেন সাবুল শেখ, সামু শেখ। জানা যাচ্ছে, টানা জেরায় দুজনেই নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত দুজন কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার ভর সন্ধ্যায় লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস খুন হন। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝ রাস্তায় আটকে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে।
তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রয়েছে এই ঘটনার নেপথ্যে। গেরুয়া শিবির পাল্টা দাবি করে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হতে হয়েছে অসীম দাসকে। সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। বুধবার নিহতের বাড়ি যান বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আশ্বাস দেন খুব দ্রুতই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।
তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে দু’জন জেরায় স্বীকার করেছেন, তাঁরাই গুলি চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে দোষীদের। সূত্রের খবর, দোষীদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার পেছনে আর কে কে জড়িয়ে আছে তা খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারীরা।
Comments are closed.