ভুয়ো আইএএস, সিবিআই অফিসারের পর শহরে এবার ভুয়ো আইপিএস। সোমবার জনৈক জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষী ভট্টাচার্য ওরফে বাবাইকে গ্রেফতার করে পার্ক স্ট্রীট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রাজর্ষী নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে জাকির হোসেনের কাছে ২ লক্ষ টাকা চান। বলেন, টাকা না পেলে জাকিরকে গ্রেফতার করবেন। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা রাজর্ষীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি দাবি করতেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি NIA’র একটি গোপন অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জানা গিয়েছে রাজর্ষীর বাবা একজন অধ্যাপক। অধ্যাপকের ছেলের এই কীর্তিতে কার্যত হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা।
ধৃতের বিরুদ্ধে ১৭০/৩৮৪/৪১৯/৪২০/১২০বি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পার্ক স্ট্রীট থানা। এই ঘটনায় রাজর্ষীর নিরপত্তারক্ষী ৪৩ বছরের অভিজিৎ দাস এবং গাড়ির চালক মহম্মদ সিকান্দরকেও পুলিশ গ্রেফতার করছে। জানা যাচ্ছে অভিযুক্তর কাছ থেকে একটি নীলবাতি লাগানো গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতদের মঙ্গলবার ব্যাংকসাল কোর্টে তোলা হয়।
দেবাঞ্জন কাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। একে একে পুলিশের জালে ধরা পড়ে একাধিক ভুয়ো সরকারি অধিকারী। সোমবারই বরাহনগর থেকে গ্রেফতার হয় এক ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সিবিআই দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক আইনজীবী দম্পতির কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করে। শেষে ওই দম্পতির সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শহরে ফের এক ভুয়ো আইএএস। ধৃত রাজর্ষীর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
Comments are closed.