ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে মামলার দ্রুত শুনানিতে সায় নেই হাইকোর্টের। সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলাকারীদের জানান, নির্বাচন এবং উপনির্বাচন এক নয়। তারপরেই তাঁর প্রশ্ন, বিজ্ঞপ্তির এত দিন পরে মামলা কেন? পাশাপাশি মামলাকারীর দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করেন বিচারপতি।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণার পরেই কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, রাজ্যের বাকি কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন বাকি থাকলেও শুধুমাত্র ভবানীপুরে ভোট কেন? এদিকে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে যেহেতু করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে, এই সময় উপনির্বাচনের জন্য আদর্শ সময়। ঘাসফুল শিবিরের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিবও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে উপনির্বাচনের আর্জি জানান।
এই আবহে মুখ্যসচিবের চিঠির বৈধতা নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। সূত্রের খবর, মামলাকারী পেশায় আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি বিজেপি ঘনিষ্ঠ।
এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, বিজ্ঞপ্তি পেশের এতদিন পরে মামলা কেন? আগে কেন আদালতের দ্বারস্থ হননি। প্রশ্নের পাশাপাশি দ্রুত মামলার শুনানির আবেদন খারিজ করেন জাস্টিস বিন্দল। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে সব শিবিরের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মনোয়ন পত্র জমা দেন, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
Comments are closed.