দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর পদ্ম ত্যাগ নিয়ে জল্পনা ছিল। জল্পনা সত্যি করি অবশেষে দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। রায়গঞ্জের সাংসদের বিরুদ্ধে একবার ফের ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, দেবশ্রী চৌধুরী যে দলে আছে সেখানে থাকা সম্ভব নয়।
বাবুল সুপ্রিয় দল ছাড়ার পরেই বেসুরে বাজছিলেন কৃষ্ণ। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারাতে চেয়েছিলেন। এর পরেই তাঁকে ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়। রাজ্য বিজেপির যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে কী নতুন সংযোজন কৃষ্ণ কল্যাণী?
নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন নিয়েও খুশি ছিলেন না রায়গঞ্জের বিধায়ক। তাঁর মতে নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অপরিণত মস্তিষ্কের। যার জের ফের একবার তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দলীয় কার্যালয় থেকে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি সরিয়ে ছিলেন আগেই। বিতর্ক চলাকালীনই প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সরিয়ে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
বিজেপি ছাড়লেও তিনি যে তৃণমূল যোগ দেবেন তেমনটা স্পষ্ট করেননি এখনও। দলত্যাগের দিনও পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক এনেছেন। তাঁর কথায়, রাজ্য বিজেপি মীরজাফরে ভরে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের জন্য এত কাজ করার পরেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আমায় শোকজ করেছে। আমি উত্তর না দিয়ে বিজেপি ছাড়ারই সিদ্ধান্ত নিলাম।
Comments are closed.