২ রা জানুয়ারি শতাব্দী প্রাচীন রীতি ভেঙে সঙ্গী বিন্দুকে নিয়ে সাবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছিলেন কনকদুর্গা। তারপর বিজেপি, আরএসএস ও অতি দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির লাগাতার বিক্ষোভ ও হুমকির জেরে কোচির এক গোপন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। সপ্তাহ দুই লুকিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে ফেরেন কনকদুর্গা। কিন্তু বাড়িতে ঢুকেই শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হলেন তিনি। সূত্রের খবর, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে খবর।
গত বছরের ২৮শে সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, সাবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদেরও প্রবেশাধিকার রয়েছে। এরপর কেরল সরকার একাধিকবার চেষ্টা করেও এই নির্দেশ কার্যকর করতে অসমর্থ হয় প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। অবশেষে ২ রা জানুয়ারির কাকভোরে কনকদুর্গা ও বিন্দু আম্মিনি পুলিশি নিরাপত্তায় মন্দির গর্ভে প্রবেশ করেন।
এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ হয় বিজেপিসহ ডানপন্থী সংগঠনগুলি। হুমকির মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে দুই মহিলা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছিলেন, সরকারের সহযোগিতা পেলেই বাড়িতে ফিরতে পারবেন। জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও শতাব্দী প্রাচীন রীতি ভেঙে সাবরীমালায় প্রবেশ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন সরকারি কর্মী কনকদুর্গা। তাঁর এই পদক্ষেপ যে বাড়ির লোকেরা সমর্থন করেনি তাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরেও যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তা বোধহয় ভাবেননি তিনি।
Related Posts
Comments are closed.