মুখ দেখাদেখি বন্ধ দেবশ্রী এবং শতাব্দীর মধ্যে, একসময় চলত রেষারেষি, নিজের মুখেই তা স্বীকার করলেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
একসময় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন দেবশ্রী রায় এবং শতাব্দী রায়। একসময় বাংলা চলচ্চিত্র জগত এই দুইজনি মাতিয়ে রেখেছিলেন অসংখ্য সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন দুই অভিনেত্রী জনপ্রিয় হিট সিনেমাগুলি দুজনের ঝুলিতে জমা হতে থাকে একের পর এক। সেই সময় প্রসেনজিৎ তাপস পালের বিপরীতে বেশিরভাগ সময়ই এই দুই অভিনেত্রী দেখা যেত। তখনকার দিনে হিট সিনেমা গুলি দেবশ্রী রায় এবং শতাব্দী রায়ের জন্য ছিল দর্শকদের তখন প্রিয় নায়িকা বলছে এই দুই নায়িকা ছিল দেবশ্রী রায় শতাব্দী র তুলনায় সিনিয়ার কিন্তু তবুও দুজনেই সমান ভাবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
দেবশ্রী রায় ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ১৯৬৬ সালে হিরন্ময় সেনের ‘পাগল ঠাকুর’ ছবির হাত ধরে। এরপর তরুণ মজুমদারের কুহেলি ছবির মাধ্যমে রেনুর ভূমিকায় অভিনয় করার পর থেকে তাঁর পরিচিতি বিস্তার ঘটে জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আর ১৯৮৬ সালে ইন্ডাস্ট্রিতে তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’ ছবির হাত ধরে শতাব্দী রায় পা রাখেন।
তবে এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে সম্পর্ক একেবারেই মিষ্টি ছিল না টলিউড ইন্ডাস্ট্রি এরকম অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন যাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয় শতাব্দি এবং দেবশ্রী রায় হলেন সেই অভিনেত্রীদের মধ্যে দুজন। এক সাক্ষাৎকারে শতাব্দী রায় নিজে স্বীকার করেন যে “দেবশ্রী আমার অনেক আগে থেকেই হিরোইন ছিল। ও তখন এক নম্বর নায়িকা ছিল। আমি আসার পর দ্বিমত তৈরি হয় লোকেদের মধ্যে যে কে এক নম্বরে। কিন্তু, আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল না। দেবশ্রীর তরফ থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিল না। ওর থেকে কোনওদিনই ঠিকঠাক ওয়েলকাম পাইনি। আমরা একটাই ছবি করেছিলাম। প্রসেনজিৎ আমাদের দু’জনকে খুব সুন্দর করে হ্যান্ডেল করেছিল, যাতে আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা না হয়।”
তবে শতাব্দী রায় জানিয়েছেন বর্তমানে তাদের সম্পর্ক খুব ভালো। নিজেদের সমস্ত কথাই দুজন দুজনের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। দুজনে রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছেন এবং টলিউড এর বড় পর্দা থেকে বিরতি নিয়েছেন। যদিও বা দেবশ্রী রায়কে আমরা আবারও দীর্ঘ কয়েক বছর পরে টেলিভিশনের ছোটপর্দায় জি বাংলা ধারাবাহিক এর মাধ্যমে ফিরে পেয়েছি। কিন্তু শতাব্দী রায় চলচ্চিত্র জীবন থেকে সরে এসেছেন তাঁর পুরো ফোকাস বর্তমানে রাজনৈতিক ময়দানে।
Comments are closed.