বাঘের সাথে মায়ের লড়াই, ১ কিমি পিছু করে বাঁচিয়ে আনলেন নিজের বাচ্চাকে, চিতা বাঘের মুখ থেকে এক মা ফিরিয়ে আনলেন তার ৮ বছরের সন্তানকে, তার সাহসীকতায় মুগ্ধ সবাই

‘মা’ আমাদের সকলের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। যেকোনো মাই তার সন্তানের জন্য যেকোন সীমা পর্যন্ত যেতে পারেন। বিপদ থেকে নিজের সন্তানকে বাচাঁনোর জন্য বিপদের মুখেও ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস রাখেন তারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে তেমনি একটি ঘটনার কথা উঠে এসেছে সকলের সামনে। এক মা নিজের আট বছরের সন্তানকে বাঁচিয়ে আনলেন হিংস্র চিতা বাঘের মুখ থেকে।

সিধি জেলার সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের পাশে অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের বাড়িঝিরিয়া গ্রামের ঘটনা এটি। এই গ্রামেরই বাসিন্দা কিরন দেবী। তিনি বিপদের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের সন্তানকে বাঁচিয়ে এনেছেন জঙ্গলের মধ্যে থেকে। জানা গেছে, কিরন দেবী নিজের তিন সন্তানকে বসিয়ে রেখে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আর সেইহময়ই তার আট বছরের পুত্রসন্তানকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘে। ঘটনাটি দেখতে পেয়েও সেই মুহূর্তে কিছু করতে পারেননি তিনি। এরপরে ঐ চিতা বাঘকে ধাওয়া করে এক কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়ে যান মহিলা।

কিন্তু তিনি যেতে যেতেই বাঘটি বাচ্চাটিরকে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে পরেছিল। কিরন দেবী একজন মা হিসেবে এতোটুকু না ঘাবরে জঙ্গলে ঢুকে যান এবং যেকোন উপায়ে বাঘটিকে ভয় দেখাতে থাকেন। ভয় দেখানোর সময় বাঘটি পাল্টা আক্রমণ করেন ঐ মহিলার দিকে, আর ঠিক সেইসময়ই কিরন দেবী লাঠির আঘাত দেন বাঘটিকে। এরপরেই ভয় পেয়ে বাঘটি বাচ্চাটিকে ফেলে পালিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। আর তারপরই নিজের ছেলেকে উদ্ধার করে ফিরে আসেন তিনি।

শিশুটির চোখে এবং গায়ে আঘাত লেগেছিল, তার ছবি মিডিয়ার মাধ্যমেই প্রকাশ্যে এসেছে। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই কিরান দেবী প্রশংসিত হয়েছেন সকলের কাছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত এই ঘটনা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়েছেন এবং তার সাহসীকতার জন্য তার প্রশংসা করেছেন তিনি। নেটদুনিয়ায় অধিকাংশ নেটনাগরিকরা তার এই সাহসিকতার কথা শুনে মুগ্ধ।

Comments are closed.