গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিবারই গর্ভবতী হয়ে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার এই গ্রামের মহিলারা, সামনে এলো আসল রহস্য
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা এমন সময় অনেক ঘটনাই জানতে পারি যা আমাদের কাছে আশ্চর্য মনে হয়। আমাদের অবাক করে তোলে সেই ঘটনা। সম্প্রীতি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ভিডিও। যা নিয়ে বেশ চর্চা চলছে বর্তমানে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই গ্রামটিতে বিগত ৩০ বছর ধরে কোন পুরুষ আসেনা। এককথায় ওই গ্রামে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও ওই গ্রামের মহিলারা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কেনিয়ার’ ‘সাম্বুরু এলাকার’, ‘উমোজা’গ্রামে কয়েক বছর ধরে এই ঘটনা ঘটে আসছে বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গ্রামের মহিলারা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সঠিক সময়ে সন্তান প্রসব করে তাকে লালন পালন করে বড় করে তোলেন। সন্তানরা কখনই তাদের পিতৃ পরিচয় জানতে চায় না। তবে কথা হলো এই আশ্চর্য ঘটনাটি কি করে সম্ভব? দক্ষিণ আফ্রিকার এই গ্রামটি অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলের মাঝে, গ্রামে ২৫০ জনের বেশি মহিলার সঙ্গে তাদের সন্তানেরা থাকে। এই গ্রামের প্রতিটি মহিলা স্বনির্ভর কৃষিকাজ, পশুপালন এবং ছোট ছোট শিল্পের মাধ্যমে এরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এছাড়াও রঙিন পুতির গয়না বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় তারা সেইগুলো বানিয়ে বিক্রি করে উপার্জন করেন।
তবে গ্রামের মহিলারা কোন জাদু শক্তি দিয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন না। গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও গ্রামের মহিলারা গ্রাম থেকে বেরিয়ে নিজেদের পছন্দের পুরুষ বেছে নিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। এরপর গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওই পুরুষের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেয়। যার ফলে পিতৃপরিচয় ছাড়াই তাদের সন্তানরা বেড়ে ওঠে। জানা যায় ১৯৯০ সালে এই গ্রামটি গড়ে উঠেছিল। শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে বহু দূর দূর থেকেই মানুষ আসে এই গ্রামটি পরিদর্শনের জন্য।
Comments are closed.