ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সলির খুনের ঘটনায় ৪৮ ঘন্টা পর গ্রেফতার দীপক কান্দু। ধৃত দীপক সম্পর্কে তপন কান্দুর ভাইপো হন। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দীপক এবং তাঁর বাবাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল পুরুলিয়া জেলার পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে দীপককে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। বুধবার দীপককে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চায় তদন্তকারীরা।
পুরভোটে, কাকা তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন ভাইপো দীপক। কাকা ভাইপোর ভোট যুদ্ধে হেরে যান দীপক। তপনের পরিবারের অভিযোগ, ভোটে হারের রাগ থেকে কাকাকে খুনের পরিকল্পনা করেন দীপক। দীপক ও তাঁর বাবার পাশাপাশি ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেও খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, ঝালদা থানার আইসি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। প্রয়োজনে সিআইডির সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। যদিও বুধবারও সিবিআই তদন্তের দাবি অনড় আছেন মৃতের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তদন্তে তাঁর আস্থা নেই। কোর্টের পর্যবেক্ষণে সিবিআই তদন্তের দাবিতে এদিনও সরব হয়েছেন তিনি।
Comments are closed.