দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা বেঁচে ফিরেছেন এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। আর দুর্ঘটনার দু’দিন পর প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বছর ধরে লাইসেন্স রিনিউ না করেই চালানো হচ্ছিল রোপওয়ে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন, ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম দপ্তরের ডিরেক্টর রাহুল সিনহা। বুধবার তিনি বলেন, তিন বছর আগেই লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছিল ওই রোপওয়ে সংস্থার। তারপর আর রিনিউ না করেই দেওঘর থেকে ত্রিকূট পাহাড় পর্যন্ত রোপওয়ে চালানো হচ্ছিল।
রাহুল সিনহার দাবির পরেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে কীভাবে ওই সংস্থাকে রোপওয়ে চালাতে দেওয়া হল? এই প্রসঙ্গে রোপওয়ের দায়িত্বে থাকা দামোদর রোপওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেডের ম্যানেজার মহেশ মাইতি অভিযোগ করেন, রোপওয়ে থেকে যে আয় হয়, এখনও তার একটা অংশ পায় রাজ্য সরকার। লাইন্সের মেয়াদ শেষের পর রোপওয়ে চালানোর দায় ঝাড়খণ্ড সরকারকেও নিতে হবে। সংস্থার ম্যানেজারের আরও দাবি, সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, মেয়াদ শেষের পর আরও দু’বছর মেয়াদ বাড়ানো হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।
উল্লেখ্য গত রবিবার রোপওয়ে চেপে দেওয়ঘর থেকে ত্রিকূট পাহাড় যাওয়ার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একদল পর্যটক। আচমকাই দুটি রোপওয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রবিবারই রোপওয়ে থেকে পড়ে দু’জনের মৃত্যু ঘটে। পরে উদ্ধারকাজের সময় মৃত্যু হয় আরও দুই পর্যটকের। বায়ুসেনার চেষ্টায় ৪০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রত্যেকেই এখন সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।
Comments are closed.