রাজ্যে উর্দ্ধমুখী কোভিড গ্রাফ। এরমধ্যে সোমবার থেকে খুলছে স্কুল। ৫৬ দিনের লম্বা ছুটির পর খুলছে খুলে গেছে সব সরকারি স্কুল। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেদিকেই জোর দিচ্ছেন স্কুলগুলির প্রধান।
সব সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলেছে স্কুল। তাই পড়ুয়াদের মধ্যে বেশ আনন্দ দেখা গিয়েছে। কিন্তু কোভিড বিধি মেনে না চললে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে,এটাই বোঝানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। বেশ কিছু স্কুলের গেটে বসানো হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার যন্ত্র।
এই নিয়ে শহরের বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন, যদি স্কুল আবার বন্ধ হয়ে যাক না চাও তবে মাস্ক পরো, স্যানিটাইজার ব্যবহার করো। যোধপুর পার্ক বয়েজের প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন, ছাত্রদের বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হবে স্কুলে যদি এক জনও কোভিড পজিটিভ হয়, তবে বন্ধ হয়ে যাবে পুরো স্কুল।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশকিছু বেসরকারি স্কুল খুলে গিয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি এড়াতে সব স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বারবার বোঝানো হচ্ছে শুধুমাত্র স্কুলে নয়, স্কুলের বাইরেও মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি নিষেধ, তবেই ঠেকানো যাবে করোনা সংক্রমন।
দেশ ও রাজ্যে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। মার্চের শেষে করোনা সংক্রমণ একেবারের ছিল না বলা চলে। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে ফের উর্দ্ধমুখী কোভিড সংক্রমণ।
রাজ্য স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি পড়ুয়াদের ৮০ শতাংশই ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ পেয়ে গিয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজের দিকে।
Comments are closed.