আজ, ২৯ জুলাই। এদিন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস। বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে তিনি একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে বিদ্যাসাগর প্রণীত বর্ণপরিচয়ের ঠিক নীচে লেখা, বীরসিংহের সিংহশিশু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।
এদিন টুইটারেও শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, আজ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এই মহান পণ্ডিত-সংস্কারক এখনও আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে আছেন।
I pay my humble tribute to Pandit Ishwar Chandra Vidyasagar on his death anniversary today. The great scholar-reformer remains the pole star for us even now.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 29, 2022
ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ছিলেন বিদ্যাসাগর। ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামের এক দারিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই।
অন্যদিকে বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক কাজ চিরস্মরনীয় হয়ে আছে। তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামেও। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত মানুষ কখনোই তাঁর কাছ থেকে শূন্য হাতে ফিরত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসঙ্কটের সময়ও তিনি ঋণ দিয়ে পরোপকার করেছেন। তাঁর পিতামাতার প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি উল্লেখযোগ্য দেশবাসীর কাছে।
Comments are closed.