হাইকোর্টে স্বস্তিতে সুকন্যা মণ্ডল সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বাকি ৬ জন। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি যে নির্দেশ দিয়েছিলেন এদিন তিনি নিজেই তা প্রত্যাহার করলেন। অর্থাৎ এদিন সুকন্যা মণ্ডলকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বাকি ৫জনের জন্যও। সেই সঙ্গে বুধবার জাস্টিস গাঙ্গুলি এও নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের টেট পাশের শংসাপত্র এবং নিয়োগের নথি জমা দিতে হবে। এদিন সেই নির্দেশও তিনি প্রত্যাহার করেন।
সুকন্যা সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা টেট পাস না করেই প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করছেন। বুধবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিজিৎ গাঙ্গুলির বেঞ্চে একটি অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই অতিরিক্ত হলফনামার ভিত্তিতেই জাস্টিস গাঙ্গুলি অনুব্রত কন্যা সহ ৬ জনকে এদিন দুপুর তিনটের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁদের টেট পাশের সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্রও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন সেই মতো দুপুর ২ টো নাগাদই অনুব্রত কন্যা আদালতে হাজির হয়ে যান। কিন্তু দুপুর তিনটেয় শুনানি শুরু হলে অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, তিনি বুধবারে জমা দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামাটি খতিয়ে দেখেছেন। প্রাইমারি নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে দুটি মামলা চলছে, তাই অতিরিক্ত হলফনামাটি গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারক গাঙ্গুলি বলেন, যেহেতু অতিরিক্ত হলফনামা আদালত গ্রহণ করছে না, তাই এই হলফনামার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া নির্দেশও প্রত্যাহার করা হল। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এদিন বেশ কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেন সুকন্যা মণ্ডল।
যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত হলফনামা পুরোনো মামলার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সুকন্যা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীরা যদি চান পৃথক মামলা করতে পারেন। পৃথক মামলা করার অধিকার মামলাকারীদের রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য যাওয়ার সময়, অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে টেট পাশ করেছেন। সুকন্যার কাছে টেট পাশের সার্টিফিকেট রয়েছে। এবং তিনি এও বলেন, তাঁর মেয়েকে তলব করেনি আদালত। শুধু সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছেন।
Comments are closed.