বিয়ে হয়ে হাসিখুশি গুনগুন এসেছিল মুখার্জি বাড়িতে! আজ সেই মুখার্জি বাড়িতে আসবে গুনগুনের নিথর দেহ! মুখার্জি পরিবারের সাথে কান্নায় ভাসছেন খড়কুটের দর্শকরাও
ধারাবাহিক হোক বা সিনেমা দেখতে দেখতে এগুলি মানুষের খুব কাছের হয়ে দাঁড়ায়। কাজ করতে করতে কলাকুশলীরা যেমন বাঁধা পড়েন এক বন্ধনে তেমনই তাঁদের সাথে বাঁধা পড়ে যান তাঁদের দর্শকেরাও। চরিত্রগুলি একেবারে হয়ে ওঠে তাদের ঘরের মানুষ। এমনিতেই যখন ধারাবাহিক গুলি শেষ হয়ে যায় তখন তার দর্শকেদের মনে বেশ কষ্টই লাগে। তার উপরে আবার যদি প্রিয় কোন চরিত্রের মৃত্যু দেখে শেষ করানো হয় তাহলে তো আরো বেশি বেদনাদায়ক। এখন যেমন জনপ্রিয় ধারাবাহিক খরকুটার অনুরাগীদের মনে কষ্টের সীমা নেই।
সম্প্রতি খড়কুটো ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছিল গুনগুনের ছোট ননদ সাজির বিয়ে। আর তারই মাঝে পরিবারের সকলের হাসিখুশি মুখের পেছনে জড়িয়ে রয়েছে একটি দুঃখ। তার কারণ মুখার্জি পরিবারের প্রাণ গুনগুনের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ার পর থেকেই গুনগুন বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সাজির বিয়েতে হাসি-ঠাট্টা মজা আনন্দের মধ্যেও বারবার গুনগুনকে অসুস্থ হয়ে যেতে দেখে আরও ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিল মুখার্জি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য। এসব দেখে দর্শকের মনেও যন্ত্রণা কিছু কম হয়নি। নেট দুনিয়ায় বারবার খরকুটার লেখিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল যেন গুনগুনের মৃত্যু দিয়ে খরকুটো শেষ না করা হয়। তবে এখন ধারাবাহিকের অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন এই দৃশ্য দেখানোর কি খুব দরকার ছিল? গুনগুন ও সৌজন্য তাদের সন্তানকে দুজনে মিলে সুপ্রতিষ্ঠিত করছে এমন ঘটনাও তো দেখানো যেত।
আজকের এপিসোডে চোখের জলে ভাসবে খড়কুটোর অনুরাগীরা। প্রাণশক্তিতে ভরা হাসিখুশি ঝলমলে মেয়েটির নিথার দেহ আসবে, মুখার্জি পরিবারে। স্ত্রীকে লাল কাপড় দিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে সাজিয়ে দেবে। সিঁদুর পরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়বে সৌজন্য। বলাই বাহুল্য মুখার্জি পরিবারের এ দৃশ্য দেখে মুখার্জি পরিবারের সদস্যদের সাথে কান্নায় ভেঙে পড়বে খড় কুটোর দর্শকেরাও।
Comments are closed.