বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। নবান্ন অভিযানে অবরুদ্ধ শহরের একাধিক রাজপথ। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাওড়া ব্রিজ, বাস নেই, দেখা নেই অটোর। পায়ে হেঁটেই অফিসমুখী হতে দেখা যায় অফিসযাত্রীদের। হাওড়া ব্রিজের সঙ্গে রবীন্দ্র সেতুও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক আটকে, জনজীবন স্তব্ধ করে সভা করায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা স্বত্তেও কীভাবে নবান্ন অভিযান। এই নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। অবিলম্ব হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করার দাবি করা হয়। যদিও মঙ্গলবার এই মামলার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, লকেট চ্যাটার্জি ও রাহুল সিনহাকে। সাঁতরাগাছিতে মিছিল শুরু করতে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে শুভেন্দু অধিকারীদের আটক করে পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এই আবহেই হাইকোর্টে নবান্ন অভিযান নিয়ে দায়ের হল মামলা। এদিন এই নিয়ে শুনানি না হলেও পরে হবে বলেই হাইকোর্ট সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম উঠে আসে দুর্নীতিকাণ্ডে। চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
Comments are closed.