জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। জোশীমঠে যখন রোজ মাটি ধসছে, ফাটল দেখা দিচ্ছে। সেইসময় এই দৃশ্য ভয় ধরাচ্ছে দার্জিলিং-এর পরিস্থিতি নিয়ে। দার্জিলিং পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৩৯টি অবৈধ নির্মাণ শনাক্ত হয়েছে সেখানে। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দ্বারস্থ হয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা পরিবেশ অ্যাকাডেমি। তাঁদের দাবি, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হোক। পরিবেশের স্বার্থে বন্ধ করা হোক বেআইনী নির্মাণ। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অ্যাকাডেমির সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখার্জি জানিয়েছেন, আমাদের ভুলের জন্য জোশীমঠের এই অবস্থা। এই কারণে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং-এর ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে পরিবেশ অ্যাকাডেমির সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলিও। তাঁদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে বহুতল, জলবিদ্যুৎ, রেল যোগাযোগের নামে দার্জিলিং-এর পাহড়ে যে ক্ষতি হয়েছে, এরফলে বিপর্যয় সময়ের অপেক্ষা। প্রথমত জলবিদ্যুতের নামে তিস্তার দুইধারে অবস্থিত গ্রামগুলিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে। রেল পথ নির্মাণের নামে ক্ষতি হচ্ছে একের পর এক গ্রামের।
এই বিষয়ে দার্জিলিং-এর হামরো পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দার্জিলিং পুরসভার পক্ষ থেকে ৩৫ টি বাড়িকে নোটিশ দেওয়া হয়। দার্জিলিংকে বাঁচাতে লড়াই জারি থাকবে। অন্যদিকে দার্জিলিং-এর অবৈধ নির্মাণ ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। দার্জিলিং-এ একটা বড় ভূমিকম্প হলে, জোশীমঠের চেয়েও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হবে, আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন ভূবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা।
Comments are closed.