সিকিমে তুষারধসে মৃত বাংলার ২ বাসিন্দা, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কলকাতার ১ বাসিন্দা

মঙ্গলবার সিকিমের নাথুলা এলাকায় তুষারধস হয়। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৭ জনের। আহত হন অনেকে। আরও অনেককে উদ্ধার করার পর ভর্তি করা হয় গ্যাংটকের একটি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে ২ জন বাংলার বাসিন্দা। মৃতদের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, সৌরভ রায় চৌধুরী প্রীতম মাইতি ২ জন বাংলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে প্রীতম কলকাতার বাসিন্দা। বাকিরা তিনজন হলেন, নেপালের বাসিন্দা। আর দুইজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

 

মঙ্গলবার ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে নাথুলা বর্ডারের কাছে তুষারধস হয়। আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সোমবার সকাল থেকে পূর্ব সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়। পূর্ব সিকিমের নাথুলা, বাবা মন্দির ও ছাঙ্গু এলাকায় শুরু হয় তুষার বৃষ্টি। ইতিমধ্যে ২২ জনের মতো পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কাছাকাছি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এছাড়াও, ৩৫০ জন আটকে পড়া পর্যটক এবং ৮0টি গাড়িকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

ঘটনায় ইতিমধ্যে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, সিকিমে তুষারধসে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আশা করি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে।

 

সিকিমের মর্মান্তিক তুষারধসে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।  টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সিকিমের ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। তুষারধসের কারণে দেশে বহু মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে শুভ্র জ্যোতি নামের ১৬ বছরের এক কিশোর।

Comments are closed.