আলিপুর সংশোধনাগারের কুঠুরিতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। জেলের ৪৩ টি সেলকে কটেজে রূপান্তরিত করা হবে। সেখানে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টিকিট কেটে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিডকো) এই ব্যবস্থা করতে চলেছে। সেলগুলিতে থাকবে আধুনিক শয্যা, থাকবে ফ্রিজ, টিভি, সোফা, এসি। সেলে থাকবে আধুনিক শৌচালয়। আলাদা আলাদা সেলের জন্য আলাদা আলাদা ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে হেরিটেজ হওয়ার জন্য স্বাধীনতার পরবর্তী সময় তৈরি সেলগুলিতে হচ্ছে কটেজ।
বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরসভার হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটি এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। পুরসভার হেরিটেজ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, এই বিষয়টির সঙ্গে হেরিটেজ জড়িয়ে রয়েছে। ফলে পুরসভার হেরিটেজ কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
আলিপুরে গত বছর শুরু হয়েছে জেল মিউজিয়াম। সংশোধনাগারের ঐতিহ্যবাহী ভবনের একাংশে বানানো হয়েছে যাদুঘর। জেল মিউজিয়াম দেখতে ৩০ টাকার টিকিট কাটতে হয়। জেল মিউজিয়াম ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেখানে চালু হয়েছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। সেটা দেখার খরচ ১০০ টাকা।
আন্দামানে কালাপানি পেরিয়ে সেলুলার জেল দেখতে যান অনেক পর্যটক। কয়েকদিন আগে উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্র সরকার জেল পর্যটন তৈরি করেছে। এবার জেল মিউজিয়ামে সেলে থাকার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। তবে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সেলগুলির আধুনিকীকরণ হবে।
উল্লেখ্য, ১৯০৬ সালে তৈরি হওয়া অনেক ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে আদিগঙ্গার পাড়ের ২১ ফুট পাঁচিল ঘেরা লাল রঙের বাড়িটিতে। সেখানে ব্রিটিশ জমানায় সময় কেটেছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, জওহরলাল নেহরু, বিধানচন্দ্র রায়দের।
Comments are closed.