ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওড়িশা গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর এদিন সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছেন ১০৩ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানান।
মঙ্গলবার কটকের হাসসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি। বাংলার অনেক বাসিন্দাই ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিন সকলের খোঁজ খবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। এদিন তার পাশাপাশি জানান, আহতদের প্রত্যেকের চিকিৎসার খরচও বহন করবে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে এই দুর্ঘটনায় যাঁরা যাঁরা আহত হয়েছেন, কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন, তাঁদের রাজ্য সরকার হোমগার্ডের চাকরি দেবে।
গত ২ জুন বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বলা হচ্ছে দেশের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত এটি সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই ছুঁই। দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দু’দিন পর ফের কটক হাসপাতালে গেলেন তিনি। কটকে বাংলার ৫১ জন ভর্তি রয়েছে। এদিন তাঁদের চিকিৎসার খবর নেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গেও কথা বলেন। পাশাপশি রুগীর বাড়ির আত্মীয়দের সঙ্গেও এদিন দেখা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments are closed.