অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলার হামিলি কোয়ার্টার এলাকায় মাসি নাগমণির বাড়িতেই থাকত দু’বছরের ছোট্ট ভেন্নেলা। রবিবার খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মাটি খেয়ে ফেলে ছোট্ট শিশুটি, পরে মৃত্যু হয় তার।
মা-বাবার খোঁজ নেই। জন্ম থেকেই সে মাসির কাছে মানুষ। রুটি রুজির খোঁজে স্ত্রী নাগমণি, মা ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে মহেশ কর্ণাটকের চিকবাল্লাপুর জেলা থেকে বছর দশেক আগে অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী মিলে দৈনন্দিন যা রোজগার, তাতে ভালোমতো খাবার জুটত না কারও। সূত্রের খবর, নিয়মিত কাজও জুটত না তাদের। অপুষ্টি আর অনাহারে মাস ছয়েক আগে নাগমণির ৩ বছরের ছেলে সন্তোষের মৃত্যু হয়। সেও খিদের জ্বালায় মাটি খেয়ে ফেলেছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর। এক বছর আগে তাদের ৮ বছরের কন্যারও মৃত্যু হয় অনাহার আর অপুষ্টিতে ভুগে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, অনাহারেই মৃত্যু হয়েছে দু’বছরের ভেন্নালার। বিষয়টি নিয়ে বালালা হাক্কুলা সংঘম নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দিয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা করেছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি, সমাজের প্রত্যেকটি শিশুকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া সরকারের কর্তব্য।
Comments are closed.