গডসে নিয়ে মন্তব্যের মামলায় জামিন মিললেও, আদালতের সমালোচনার মুখে পড়লেন কমল হাসান।
ধর্ম, জাতি বা বর্ণের মাধ্যমে কোনও অপরাধীকে চিহ্নিত করলে, তা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে, অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
রাজনৈতিক সভা থেকে কমল হাসানের ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী একজন হিন্দু’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। সংশ্লিষ্ট মামলায় কমল হাসানের আগাম জামিনের আবেদন গ্রাহ্য করলেও, তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সম্প্রতি কমল হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সংশ্লিষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি বি পুগালেন্ধির পর্যবেক্ষণ, কোনও অপরাধীকে তার ধর্ম, জাতি, বর্ণ, জন্মস্থান বা ভাষা দিয়ে নির্দেশ করা উচিত নয়। যদি তা করা হয়, তাতে মানুষে মানুষে বিদ্বেষের মনোভাব তৈরি হতে পারে।
কমল হাসানের পক্ষে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, নাথুরাম গডসেকে উদ্দেশ্য করে মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের প্রধান যে মন্তব্য করেছেন, সেখানে তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ নয় ‘চরমপন্থী’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, ছোট্ট আগুনের শিখা থেকে একটা জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সন্ত্রাসবাদী হোক বা চরমপন্থী, কোনও অপরাধী তার ব্যবহারের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়, জন্ম বা ধর্মের ভিত্তিতে নয়।
এই প্রসঙ্গে আদালত আরও জানায়, রাজনৈতিক সভার লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের সমস্যার প্রতিকারের কথা, বিদ্বেষমূলক রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে বহুবার দেশে অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে। কমল হাসানের আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন, কমল হাসান যা বলেছেন তার ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানায়, যতই ঐতিহাসিক ভিত্তি থাকুক, সঠিক প্রসঙ্গে তা ব্যবহার না হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
Comments are closed.