কোন কাজই ছোট কিংবা বড় হয় না। সৎ পথে মানুষ অর্জন করলেই সেটা কাজ। তবে এক কৃষককে গাড়ির শো রুমে একজন সেলসম্যান ভুল ভেবে তার পোশাক আশাক দেখে তাকে বিচার করে সকলের সামনে অপমান করেন। তবে সেই অপমান তিনি মুখ বুজে মেনে নেননি। আধ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সেলসম্যানকে তার অপমানের যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কর্ণাটকের চিক্কাসন্দ্র হুবলির রামনপাল্যার বাসিন্দা এই কৃষক। তার নাম, কেম্পেগৌরা আর এল। তিনি পেশায় কৃষক হলেও তার আয় নেহাত কম নয়। এই কৃষকের অনেকদিন থেকেই একটি গাড়ি কেনার ভীষন শখ ছিল। নিজের শখ পূরণ করার জন্যই কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গাড়ির শোরুমে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে এসেই তাকে অপমানিত হতে হয়, যা তিনি একেবারেই মেনে নেননি। এই ঘটনার রেশ গড়িয়েছিল থানা পর্যন্ত।
নগদ দু’লক্ষ টাকা সেলসম্যানকে ডাউন পেমেন্ট করে একদিনের মধ্যে গাড়ি ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপরেই সেই সেলসম্যান তাকে অপমান করে রীতিমতো দোকান থেকে বের করে দেন। কিন্তু এর পরেই তিনি সমস্ত টাকা জোগাড় করে নিয়ে আসেন এবং জমা করে দেন। তার আয় যেহেতু নেহাত খারাপ নয় তাই ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতে দেয় বিশেষ সময় লাগেনি।
আধঘণ্টার মধ্যে সমস্ত টাকা জোগাড় করে তিনি জমা করে দেন। কিন্তু তার পরেই কথা সেলসম্যান তাকে জানায় তারা তিন দিনের আগে গাড়ি ডেলিভারি দিতে পারবেন না। সেদিন শোরুমের সরকারি কর্মচারীরা যেহেতু ছুটিতে ছিলেন তাই তারা ডেলিভারি দিতে পারবেন না বলেই জানান। একথা শোনার পর কৃষক তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিলে মেজাজ হারিয়ে দু-চার কথা শুনিয়ে দিয়েছেন ঐ সেলসম্যানকে। এমনকি এরপরে ঐ কৃষক থানায় অভিযোগ পর্যন্ত জানিয়েছিলেন। অতএব এর থেকে আবারো প্রমাণ হল কারোর পোশাক দেখে বা কাউকে দেখে তার যোগ্যতা বিচার না করাই শ্রেয়।
Comments are closed.