লোকমুখে বহুদিন ধরেই প্রচারিত হয়ে এসেছে যে দিল্লি বিধানসভায় বেশ কিছু সুড়ঙ্গ রয়েছে।শুক্রবার এমনই একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলল বিধানসভার অন্দরে। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্বাধীনতারও আগের এই সুড়ঙ্গ এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। সুড়ঙ্গ নিয়ে নানান রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারা এই সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল, কী কাজে ব্যবহৃত হত?
জানা গিয়েছে দিল্লি বিধানসভার অন্দর থেকে ওই রহস্যময় সুড়ঙ্গ সোজা গিয়ে উঠেছে লালকেল্লায়। দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মনে করা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামে বন্দি বিপ্লবীদের গোপনে লালকেল্লার আদালতে পাঠানো জন্যই ব্রিটিশরা এই সুড়ঙ্গের ব্যবহার করত। গোয়েল আরও বলেন, তিনি যখন ১৯৯৩ সালে প্রথম বিধায়ক হয়ে দিল্লি বিধানসভায় আসেন তখনও এরকম সুড়ঙ্গের কথা শুনেছিলেন অনেকের কাছে। তবে এত দিন পর স্বচক্ষে দেখলেন তিনি। সুড়ঙ্গটি এখনও ব্যবহার যোগ্য কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য কলকাতা থেকে রাজধানী সরিয়ে আনার পর, দিল্লি বিধানসভার বর্তমান ভবনটি কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসেবে ব্যবহার করতো ব্রিটিশরা। সেই সময়ই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়ে থাকতে বলে অনেকে মনে করছেন।
Comments are closed.