আনলক পর্বের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। খুলে গিয়েছে বার, রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে সিনেমা হল। কিন্তু এখনও সঠিকভাবে লোকাল ট্রেন খোলার কথা ঘোষণা করা হয়নি ।সম্প্রতি যাত্রী সুবিধার্থে লোকাল ট্রেন চালু করার কথা ভেবেছে রাজ্য ।সেই পরিপ্রেক্ষিতে রেলের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিল নবান্ন।
কবে চালু হবে লোকাল ট্রেন সে বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার ফের বৈঠক করে রাজ্য ও রেল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুব শীঘ্রই লোকাল ট্রেন চালু করা হবে যাত্রীদের সুবিধার্থে। তার কারণ বেশিরভাগ যাত্রী যাঁরা জেলা থেকে কলকাতায় আসছেন তাঁদের মধ্যে লোকাল ট্রেন না চলায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে ঝামেলাও করেছেন যাত্রীরা স্পেশাল ট্রেনে ওঠার জন্য। তাঁদের বক্তব্য তাঁরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন লোকাল ট্রেন ছাড়া? প্রতিদিনই রুটি-রুজির জন্য কলকাতায় আসতে হয় তাঁদের। সেই মর্মে রেল ও রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে লোকাল ট্রেন চালু হলে তার গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। সেই গাইডলাইনের ভিত্তিতে ট্রেন চালানো হবে। এর জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হবে বলে জানা গেছে।
দ্রুত তৈরি করা হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর। রেল এবং রাজ্য যৌথভাবে এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে চালানো হবে পর্যাপ্ত ট্রেন। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি হচ্ছে। কোন স্টেশনে ট্রেন থামবে, কোথায় থামবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে রেল। জীবাণুনাশক প্রক্রিয়া চালাতে হবে রেলগুলিতে। স্টেশন এ ঢোকার ব্যাপারেও গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা। সেখানে সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল কেবল মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাঁরা সরে এসে বলেন, যাত্রী সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রেন চালানোর প্রয়োজন । অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি হলেও সঠিকভাবে কবে থেকে ট্রেন চালু হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার রেল ও রাজ্য আবার বৈঠক বসতে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে সেই বৈঠকে চূড়ান্ত দিন ঘোষিত হবে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার।
Comments are closed.