মেরুকরণের দিল্লিতে ‘দিলে’র লড়াইয়ে রাঘব চাড্ডা, বিয়ের আবদার থেকে বন্ধুত্ব পাতানোর ঢল আপ প্রার্থীর প্রচারে
এ যেন এক অন্য দিল্লি! যেখানে শাহিন বাগ, জামিয়া কিংবা বিজলি-পানি কোনও ইস্যুই নয়। এখানে দিল্লি প্রকৃতই দিল কি। দিল্লি বিধানসভার রাজিন্দর নগর কেন্দ্রে এবার আপের প্রার্থী রাঘব চাড্ডা। আর শিক্ষিত, সুদর্শন এবং মার্জিত রাঘব চাড্ডাকে নিয়েই মাতোয়ারা তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা। কেউ পাঠাচ্ছেন সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব কেউ বা রাঘবের প্রেমে পড়ছেন একেবারে দুই-তিন বন্ধুকে নিয়ে। জামিয়া-শাহিনবাগ নিয়ে তেতে থাকা রাজধানী দিল্লির হাওয়ায় নাকি ভাসছে মেরুকরণ। আপের প্রচার দল বলছে, রাঘবের ইউএসপি নাকি বিউটি কোটা। স্রেফ বিউটি কোটায় রাঘব বাজিমাত করতে পারবেন কি? প্রশ্ন এখন সেটাই।
শাহিন বাগ, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে ইস্যু করে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে দিল্লি বিধানসভা ভোটে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রচারে জোর পাচ্ছে স্কুল, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের উন্নয়নের ইস্যু। কিন্তু রাজিন্দর নগর কেন্দ্রের আম আদমি পার্টির প্রার্থী রাঘব চাড্ডার ক্ষেত্রে ইস্যুটা একটু ‘অন্যরকম’।
কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট থেকে নেতা হওয়া ৩১ বছরের যুবক রাঘব চাড্ডার ‘চকোলেট লুক’ই তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের থেকে কয়েক পা এগিয়ে দিচ্ছে! বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের কাছে তো তিনি রীতিমতো হিরো। রাঘবের নির্বাচনী কেন্দ্রের মহিলাদের কারও শর্ত, ‘আমাকে বিয়ে করুন’, তো কোনও মহিলা ফ্যানের আর্তি, ‘বন্ধুত্ব করুন’। তাহলেই তিনি ভোট পাবেন, এমনটাই বলছেন প্রার্থীর বিধানসভা কেন্দ্রের বহু মহিলা ভোটার।
আম আদমি পার্টির জাতীয় মুখপাত্র হওয়ার পর থেকে মহিলা মহলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন রাঘব। আর এই বিধানসভা ভোটে নিজের এলাকা থেকে প্রথমবার ভোটের টিকিট পাওয়ার পর রাঘবের মহিলা ফ্যানবেস আরও দীর্ঘ হয়েছে।
‘লাভ! মি অ্যান্ড মাই বেস্ট ফ্রেন্ড হ্যাভ আ ক্র্যাশ অন ইউ’, আর শুধু এই কারণেই আমরা আপনাকে ভোট দেব, এমন বার্তাতেই উপচে পড়ছে রাঘবের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নির্বাচনী প্রচারের ছবি শেয়ার করলেই মহিলা ভোটারদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। যার প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদ জানাতে ভুলছেন না লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকসের এই প্রাক্তনী। কেউ কেউ আবার আপ প্রার্থীর উত্তর না পেয়ে কান্নার ইমোজি পাঠাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারও বা আবার আবেদন, একবার অন্তত সাড়া দিন তাঁদের প্রিয় প্রার্থী। সব দেখেশুনে রাঘব চাড্ডা মনে করছেন, মহিলা ফ্যানবেসের উপর নির্ভর করেই আখেরে নির্বাচনে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন তিনি।
আর এসব দেখে প্রবীন বিজেপি নেতা হেসে বলছেন, ভোটে জেতা অত সহজ হলে তো হয়েই যেত।
Comments are closed.