বিজেপিকে হারানো নয়, আমাদের লক্ষ্য দেশ বাঁচানো। যে রাজ্যেই যাবো জিততে যাবো। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘোষণা অভিষেক ব্যানার্জির।
২০২১ এ বিজেপির বিরুদ্ধে রেকর্ড আসন পেয়ে জেতার পর সারা দেশে জল্পনা মমতা ব্যানার্জি ২০২৪ এর লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ে নামবেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কার্যত সেই লড়াইয়েরই আগাম ইঙ্গিত দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূল ভবনে সোমবার অভিষেক জানান, ২০২৪ লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখে রাজ্যের বাইরে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কাজ অগ্রাধিকার। কোন কোন রাজ্য তৃণমূল টার্গেট করবে, সর্বভারতীয় স্থরে লড়াইয়ের রূপরেখা কী হবে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিষেক জানালেন, আগামী একমাসের মধ্যে তাঁরা জাতীয় স্তরে তৃণমূলের পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন।
২ মে জয়ের পর থেকে সমস্ত রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সাংবাদিক, শিল্পী, আইনজীবীরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বাংলায় বিপুল জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখে আগামী লোকসভায় লড়ার কথা বলছেন। এরপরই অভিষেক বলেন, আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো নয়। দেশকে বাঁচানো। গণতন্ত্রকে বাঁচানো। সেই লড়াইয়ে দেশবাসী মমতা ব্যানার্জিকেই চাইছেন বলে দাবি করেন তৃণমূলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।
অভিষেক ব্যানার্জির তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ঘাসফুল শিবিরের সমালোচনায় ট্যুইট করে পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, বিজেপি একদিকে বলছে বাংলার বাইরে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বে নেই। আবার একদিকে সেই দলে আমার পদ পাওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি আমাকে নিয়ে বিজেপির এত ভয় কিসের?
দলবদলু নেতাদের দলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তৃণমুলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাঁরা তৃণমূল ছেড়েছিলেন তাঁরাই ফিরতে চাইছেন এমনটা নয়। যাঁরা বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন, তাঁরাও অনেকে তৃণমূল যোগদানের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন।
এদিন নাম না করে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতাকে বলব গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে। দিল্লির চাটুকারিতা করতে গিয়ে দয়া করে কুৎসা করবেন না।
Comments are closed.