কেরল না পশ্চিমবঙ্গ, এনআরসি, এনপিআর, সিএএ-র বিরোধিতা প্রথম কে শুরু করেছে? সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ট্যুইট বার্তার পাল্টা মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির। তাঁর দাবি, কেরল নয়, বাংলাই প্রথম কেন্দ্রের ‘অসাংবিধানিক’ আইন ও নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে।
সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন কেরলে প্রয়োগ করা হবে না বলে মঙ্গলবার কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করায় বাম সরকার। সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও তাতে সায় দেয়। এ নিয়ে পিনারাই বিজয়ন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মঙ্গলবার একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, কেরলই প্রথম রাস্তা দেখাল। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অসাংবিধানিক এই আইনের বিরুদ্ধে কেরলের মানুষ ও বিধায়কদের অবস্থানকে কুর্নিশ জানান ইয়েচুরি। তিনি এও লেখেন, অন্যান্য রাজ্যের উচিত কেরলের পথ অনুসরণ করা।
যদিও এ রাজ্যের শাসক দল তা মানতে নারাজ। নাগরিকত্ব আইন হোক বা নাগরিকপঞ্জি, মোদী সরকারের আইন ও নীতির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিই প্রথম দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের।
ইয়েচুরির সংশ্লিষ্ট ট্যুইটকে রিট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। তিনি ট্যুইটে লেখেন, বিজেপির ‘অসাংবিধানিক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেরলই প্রথম পথ দেখাল বলে মনে করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। আদতে তা নয়। অভিষেক জানান, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এনআরসি-র বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্য সরকার এনপিআর সংক্রান্ত কাজকর্ম ১৬ ডিসেম্বর মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সূত্রে অভিষেকের দাবি, কেরল নয়, বাংলাই প্রথম এনআরসি, এনপিআর ও সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। যদিও অভিষেকের এই ট্যুইটের এখনও কোনও জবাব দেননি ইয়েচুরি।
তবে অভিষেকের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে নেটিজেনদের অধিকাংশেরই মত, এনআরসি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কিংবা এনপিআর, কেন্দ্রের যাবতীয় নীতির বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন গড়ে তোলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিই। তারপরে রয়েছে কেরল। এবং এই দুই রাজ্যকে অনুসরণ করে দেশের বেশ কয়েকটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে। আবার কারও মত, কে প্রথম বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। বিজেপি সরকারের এই ‘সংবিধানবিরোধী’ আইনকে বিরোধী দলগুলির এককাট্টা হয়ে রুখে দেওয়াটাই মুখ্য ব্যাপার।
Comments are closed.