“কালকে আমার নেশামুক্তির ১৪ বছর” নিজের অতীত নিয়ে ফের আবেগঘন পোস্ট অভিনেতা অনিন্দ্য’র 

এক সময় ব্রাউন সুগারের নেশায় ডুবে সব হারাতে বসেছিলেন। একাধিকবার রিহ্যাবে গিয়েও নেশার অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না। সেই অনিন্দ্য চ্যাটার্জি এখন টালিগঞ্জ সিনে দুনিয়ার পরিচিত নাম। ব্রাউন সুগারের মতো নেশা ত্যাগ করে জীবনের মূল স্রোতের ফিরে আসার গল্প অনেককেই অনুপ্রাণিত করে। অনিন্দ্যও জীবনের সেই সব অন্ধকার দিন নিয়ে একাধিকবার জনসমক্ষে বলছেন। শনিবার ফের একটি ফেসবুক পোস্টে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। 

অনিন্দ্য লিখেছেন, “২২সে জানুয়ারি ২০০৮ । কালকে আমার জন্মদিন। কালকে আমার নেশামুক্তির ১৪ বছর । ২৯সে ডিসেম্বর তো বায়োলজিক্যাল বার্থডে। কিন্ত কালকের দিনটা আমার কাছে আরো স্পেশাল”।  

ওই পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের আজকের দিনেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। নেশার টাকা জোগাড় করতে শেষ পর্যন্ত চুরির মতো পথও বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ”লোহা, অ্যালুমিনিয়াম,কাঁসার জিনিস তখন আমার কাছে সোনার মতনই দামী । যে কোনো গাড়ির লক খুলতে লাগতো ঠিক তিন মিনিট । একটা নোকিয়ার মোবাইল মানে ক্যাশ ২/৩ হাজার । সেটাই অনেক তখন আমার কাছে” 

রিহ্যাব গিয়েও ব্রাউন সুগারের মারণ ফাঁস থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না অভিনেতা। ওই পোস্টেই বলেছেন, “৬/৭ বছর ধরে অনবরত ঘুরতে থাকা একটা বৃত্ত । নয় বাইরে নেশা করছি নয় তালা চাবির ভিতরে ভালো আছি । তালা চাবির বাইরে বেরোলেই আবার নেশা । না নিজে বিশ্বাস করতাম যে আমি কোনোদিন ভালো হতে পারবো না আমাকে কেউ বিশ্বাস করতো যে আমি কোনোদিন নেশা ছেড়ে দেবো”। 

জীবনের এরকমই একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফিরে আসার পথে সহজ না হলেও কার্যত অসাধ্য সাধন করেছেন অনিন্দ্য। বর্তমানে বাংলা ছবির প্রায় সব প্রথমসারির পরিচালকের কাজ করছেন তিনি। এক কথায় বাংলা ছবির ‘তারকা’। এতটা পথ পেরিয়ে এলেও নিজের অতীতকে এক মুহূর্তের জন্যও যে ভোলেননি, এদিনের পোস্টে তা আরেকবার স্পষ্ট। 

&https://www.facebook.com/1280760813/posts/10226769306000338/;

স্মৃতির পাতায় ডুব দিতে গিয়ে অভিনেতা লিখছেন, “আজকে যখন রাস্তায় লোকে সেলফি তুলতে চায়, অটোগ্রাফ চায় , ভালোবাসা দেয় তখন আমি নিজেকে দেখি আর পুরোটাই কেমন স্বপ্নের মতন লাগে । এটা সত্যি হচ্ছে তো ? কোথায় সেই ছেলেটা আর কোথায় আজকের আমি”। 

Comments are closed.